মন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় নিখোঁজের ১৭ দিন পর মৃত অবস্থায় ডোবা থেকে উদ্ধার করা সেই অর্ধগলিত যুবককে তার পরিবারের লোকজন হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা, মা ও বোনকে গ্রেপ্তার করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় একইদিন সকালে হাসানকে হত্যার অভিযোগে হাসানের বাবা মো. শামীম (৪০), মা হাসিনা বেগম (৩৮) ও হাসানের বোন শিলা আক্তারকে (১৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত যুবক মো. হাসান (২০)। সে হোসেন্দী গ্রামের মো.শামীম হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রইছ উদ্দিন জানান, গত ২১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে হাসানের ছোট বোন শিলা আক্তার ঘুম থেকে উঠে। এ সময় নিহত মাদকাসক্ত হাসান তার নিজ বোন শিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে ভাই হাসানের ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে বোন শিলা চিৎকার-চেঁচামেচি করলে তাদের বাবা-মা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। হাসানকে আপন বোন শিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অবস্থায় দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে বাবা-মা। এক পর্যায় হাসানকে মারতে মারতে তার ঘরে মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার বাবা-মা হাসানকে বালিশ চাপা দেয় এবং তার বোন হাসানের যৌনাঙ্গ কেটে দিলে ঘটনাস্থলে মারা যায় সে। পরবর্তীতে তার লাশ ওই ডোবায় লুকিয়ে রাখা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, নিহতের ছোট ভাই মো. হোসেনকে (১৮) জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার মূল রহস্য জানা যায়। সে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। এছাড়া নিহতের ভাই হোসেন এই মামলার বাদী হয়েছেন। আটকদের রোববার আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী গ্রামের ডোবায় নিখোঁজের ১৭দিন পর হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।