নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিক্ষার্থীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে হাটহাজারী দারুল উলুম মাদরাসার মহাপরিচালকের পদ ছাড়লেন শাহ আহমদ শফী। একইসঙ্গে তার ছেলে আনাস মাদানীসহ দুই শিক্ষককে মাদরাসা থেকে স্থায়ী অব্যহতি দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির (শূরা কমিটি) বৈঠকে আহমদ শফী পদত্যাগের পর মাদরাসা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে যান চট্টগ্রাম শহরের একটি হাসপাতালে।
আহমদ শফী দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে এই পদে রয়েছেন। কওমি মাদরাসাগুলোর কাছে ‘বড় মাদরাসা’ নামে পরিচিত হাটহাজারীর মহাপরিচালকের পদাধিকারবলে তিনি বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশেরও (বেফাক) সভাপতি পদেও রয়েছেন। এছাড়াও তিনি হেফাজতে ইসলামের আমিরের দায়িত্বেও রয়েছেন; সংগঠনটির অধিকাংশ কর্মীই কওমি মাদরাসা কেন্দ্রীক।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মাদরাসা খুললে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্ররা। মাদরাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীসহ বিভিন্ন শিক্ষকের রুমে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবারও সেই বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মাদ্রাসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়।
এমন পরিস্থিতিতে কওমি মাদরাসাটিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার । মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও অধ্যক্ষকে বৃহস্পতিবার একটি চিঠি পাঠায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। ওই চিঠি পাওয়ার পর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রাতে আহমদ শফীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসে মাদ্রাসার শূরা কমিটি।
শূরা কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন নানুপুরী গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বড় হুজুর। তবে তিনি আমৃত্যু ছদরে মুহতামিম (উপদেষ্টা) হিসেবে থাকবেন। তিনি মাদ্রাসা পরিচালনা ও নতুন মুহতামিম মনোনয়নের দায়িত্ব শূরা কমিটিকে দিয়েছেন।’