ঈশ্বরদী,পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনা -৪ আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে ঈশ্বরদী আওয়ামীলীগের কার্যালয় দখল ও আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে স্থানীয় দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার ১৪ সেপ্টম্বর সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায় পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইসাহাক আলী মালিথা গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় এই সংঘর্ষ ঘটে। এখন দুই গ্রুপের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাজারে দোকনপাট কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। মানুষ দিকবেদিক ছুটাছুটি করে।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হচ্ছে পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইছাহাক আলী মালিথা, মুলাডুলি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি বক্কার মালিথা, ঈশ^রদী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খানের ছেলে রবিন, সানোয়ার হোসেন লাবু সহ অন্যরা।
এ বিষয়ে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন আসন্ন উপনির্বাচনকে নষ্ট করতে জামায়াত শিবিরের অনুসারীরা একের পর এক অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনার পিছনে তারাই দায়ী বলে তিনি দাবি করেন। ইছাহাক মালিথা বলেন দীর্ঘদিন ধরেই আবুল কালাম আজাদ মিন্টু নোংরামী করে আসছে। মাঝে মধ্যেই দলীয় কার্যালয় একক দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। তিনি বলেন ঘটনা গুলো স্বচোক্ষে দেখেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে তাৎক্ষনিক ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং ঈশ্বরদী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কমিটি কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন বলেন ঘটনা সত্যি। কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ও সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে এখনো কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।