সুমাইয়ার পরিবারের দাবি, সুমাইয়া আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আসামিপক্ষ প্রভাব খাটিয়ে হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে রিপোর্ট প্রদান করেছে।
শনিবার সকালে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধন করে সুমাইয়ার পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী। নাটোর শহরের বলারিপারা এলাকায় সুমাইয়ার বাড়ির সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া এলাকাবাসীর অভিযোগ, হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় সুমাইয়ার পরিবার ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যার ধারাবাহিকতায় আসামিরা জামিন পেয়েছে। এলাকাবাসী এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন সুমাইয়ার মরদেহ হাসপাতালে ফেলে চলে যায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই সুমাইয়ার মা বাদী হয়ে সুমাইয়ার স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে।
গত বুধবার নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমান সরদারের আদালতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এরপর সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক হোসেন, শশুর জাকির হোসেন ও শাশুড়ি সৈয়দা মালেকার জামিন শুনানি করেন আদালত।
মামলার অপর আসামি সুমাইয়ার ননদ জাকিয়া ইয়াসমিন আগেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতার কারণে স্বামী মোস্তাক আহমেদের জামিন নামঞ্জুর হলেও শ্বশুর এবং শাশুড়ির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এ সকল নানা ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার মানববন্ধন করলো এলাকাবাসী।