প্রায় চার মাসেরও বেশী ফুটবলের সাথে কোন সংস্পর্শ ছাড়াই প্যারিসের জায়ান্ট দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা পেয়েছে। মৌসুম শেষের ঘোষণা আসায় পিএসজির খেলোয়াড়রা এখনো অনুশীলনে ফিরেনি। এমনকি খেলোয়াদের বেতন কম করার ব্যপারেও কোন সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি পিএসজি। ক্লাবটির স্পোর্টিং পরিচালক লিওনার্দো ও খেলোয়াড়রা এ ব্যপারে এখনো কোন চুক্তি করতে পারেনি। ফ্রান্স সরকারের অনুমোদিত আইনানুযায়ী প্রতিটি ক্লাবকে তাদের স্টাফদের ৮৪ শতাংশ বেতন অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে করোনার কারণে পিএসজি টেলিভিশন স্বত্ব থকে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতি করবে। সামাজিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার জন্য যে পরিমাণ অর্থ তারা ব্যয় করেছে তা ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশী। এমনকি অন্যান্য লিগের তুলনায় লিগ ওয়ানকে কিছুটা হলেও কম প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ মনে করা হয় শুধুমাত্র এই একটি কারণেই, এখানকার ক্লাবগুলো সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে থাকে।
পিএসজি প্রতিবছর খেলোয়াড়দের বেতনের ওপর সামাজিক চার্জ দিয়ে থাকে ৮০ মিলিয়ন ইউরোরও বেশী। ক্লাবের মতে এটি স্পেন, ইতালি কিংবা জার্মানীর শীর্ষ ক্লাবগুলোর তুলনায় অনেক বেশী। এদিকে এখনো পর্যন্ত কোপা ডি ফ্রান্স ও কোপা ডি লা লিগার ফাইনালের তারিখ নির্ধারিত হয়নি। ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে তারা দুটি ম্যাচই আগস্টে করার ব্যপারে আশাবাদী।
সে কারনেই কোচ থমাস টাচেল জানিয়েছেন এখনো অনুশীলনে ফেরার ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। চলতি সপ্তাহে মারকুইনহোস ব্রাজিলে ফিরে গেছেন। নেইমার ও থিয়াগো সিলভা লকডাউনে ব্রাজিলেই অবস্থান করছেন। কেইলর নাভাস ও এডিনসন কাভানিও যথাক্রমে কোস্টা রিকা ও উরুগুয়েতে রয়েছেন।