এ সময় ৯ দফা প্রস্তাবে গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাস্থ্যবীমাসহ সুরক্ষার নানা দাবি তুলে ধরা হয়।
প্রাণঘাতী ভাইরাসের থাবায় সমাজের সব শ্রেণির মানুষ সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে, প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে ঘরের ভেতর। এই মানুষগুলোর কাছে করোনা পরিস্থিতির আপডেটসহ নানা খবর পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করছেন সাংবাদিকরা। এরই মধ্যে দেশে ১৬ জন সংবাদকর্মী করোনা পজিটিভ নিয়ে চিকিৎসাধীন।
করোনার প্রভাবে যখন অর্থনীতির সব খাতই প্রায় ক্ষতির সম্মুখীন, তখন গণমাধ্যমও এর বাইরে নয়। বিজ্ঞাপনের বাজারে সংকটের জটিল অঙ্কে গণমাধ্যমকর্মীদের এখন বেতন-ভাতাও প্রায় অনিশ্চিত। এ অবস্থায় এই শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের কাছে প্রণোদনা চেয়ে আবেদন জানানো হলো। রোববার তথ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকের পর, সাংবাদিক নেতারা জানান- গণমাধ্যম বাঁচাতে হলে আর্থিক সহায়তার বিকল্প নেই।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনা দিচ্ছেন। আমরা মিডিয়া কর্মীরারাও প্রণোদনা পাবার যোগ্য। আমরা চাই অন্তত ৩ মাসের একটি বেতন ও ভাতার ব্যবস্থা করা হোক।
এই দুর্যোগের পরিস্থিতিতে কর্মরত সংবাদকর্মীদের স্বাস্থ্যবীমা নিশ্চিতের পাশাপাশি টেলিভিশন চ্যানেলে সরকারি বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করাসহ ৯ দফা প্রস্তাবনা দেয়া হয় তথ্যমন্ত্রীর কাছে।
দ্রুত এসব প্রস্তাবনা আমলে নিয়ে অন্যান্য খাতের মতো গণমাধ্যম বাঁচাতেও সরকার কার্যকর উদ্যোগ নেবেন বলেও প্রত্যাশা সাংবাদিক নেতাদের।