রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের বিসিক শিল্প নগরীতে রংপুর ফাউন্ডী লিমিটেড (আর এফ এল) কারখানা বন্ধ না থাকায় করোনা আতঙ্কে ভুগছে এলাকাবাসী।
সারা বিশ্বে করোনা মহামারি আকার ধারণ করেছে ফলে লক ডাউনে আছে বিশ্বের কয়েকটি দেশ। আর এই মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত সাধারণ ছুটির মাধ্যমে বন্ধ ঘোষণা করলেও রংপুরের বিসিক শিল্প নগরীতে রংপুর ফাউন্ড্রী লিমিটেড (আর এফ এল)সহ একাধিক কলকারখানা এখনো খোলা রয়েছে।
ফলে কারখানার পার্শ্ববর্তী কেল্লাবন্দ, সিও বাজার, চওড়াপাড়া এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষ মহামারি আকার ধারন করা করোনা আতঙ্কে ভুগছে। এছাড়াও শ্রমিকরা একসঙ্গে কাজ করায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। করোনা প্রতিরোধে সরকার সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য নিরুৎসাহিত করছে। আর সরকারের এই নিরুৎসাহিত করণকে তোয়াক্কা না করে ঘর থেকে বের হতে বাধ্য করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে শ্রমিকরা বলেন, কারখানা খোলা থাকার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে আসতে হচ্ছে কাজ করতে। তা হলে আমাদেরকে না খেয়ে মরতে হবে। কারণ কারখানা বন্ধ থাকলে আমাদেরকে বেতন তো দিবেই না বরং চাকুরী নাও থাকতে পারে। আমারা তো অসহায় আমাদের কোন শ্রমিক নেতা নাই যে আমাদের কথা শুনে মালিককে বলবে বা আমাদের দাবি আদায় করবে।
বিশ্লেষকদের মতে করোনার এই ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন সকল প্রকার কলকারখানা বন্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা। এ অবস্থায় মহামারি করোনার কথা ভেবে আর এফ এল কারখানায় একসাথে শত শত শ্রমিক কাজ করার তথ্য নিশ্চিত হওয়ার জন্য এক পুলিশ সদস্য কারখানায় গেলে লাঞ্চিত’র শিকার হন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকাল আড়াইটার দিকে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, রংপুর সিটি এসবি’র এক পুলিশ সদস্য গোপন সংবাদের ভিক্তিতে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আর এফ এল) কারখানা খোলা আছে কি না নিশ্চিত হতে গেলে আর এফ এল’র প্রধান নিরাপত্তা প্রহরী আ: খালেককে পুলিশ সদস্য’র পরিচয় দেয়ার পরও প্রধান নিরাপত্তা প্রহরী আঃ খালেক তথ্য না দিয়ে পুলিশ সদস্যকে লাঞ্চিত করেন। পরে ঔ পুলিশ সদস্য তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ফোনে অবগত করলে তারা এসে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে আর এফ এল’র প্রধান নিরাপত্তা প্রহরী আঃ খালেক সাংবাদিকদের বলেন, উনি নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন আমি পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে দেখাতে পারেননি পওে উনার কর্তৃপক্ষ আসার পর ভিতওে প্রবেশ করেন আমাদেরও কর্তৃপক্ষের কিছু নির্দেশনা থাকে। কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কিছু ইমাজেন্সি অর্ডার আছে সেগুলো কাজ করানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে রংপুর ফাউন্ড্রী লিমিটেড’র এ জি এম নূর এলাহীর ফোনে বার বার যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ না করার জন্য তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর রংপুরের উপমহাপরিদর্শক সোমা রায় বলেন, কোন কারখানাই সরাসরি বন্ধ রাখার সরকারের কোন নিদের্শনা আমাদের কাছে আসে নাই, তবে কোন কারখানা খোলা রাখলে অবশ্যই সরকারের যে স্বাস্থ্য বিধি আছে সেটি মেনেই চলতে হবে। এরই মধ্যে আমরা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম আবারোও যাবো।