ফোকাস ডেস্কঃ জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ভিত্তিক যুগে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি উদারন সরূপ বলেন, বীরগঞ্জ পাইণট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬তলা বিশিষ্ট দুইটি একাডেমিক ভবন নির্মানের জন্য ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন। ২৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তীর উদ্বোধন করেন।
এমপি গোপাল সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে শোভাযাত্রায় করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করেন। শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকার সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ সাবেক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ামিন হোসেন, পৌর মেয়র মোঃ মোশাররফ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ খয়রুল ইসলাম চৌধুরী। আলোচনা সভা শেষে ডকুমেন্টারি ও থিম সংগীত পরিবেশন করা হয় আলোচনা সভা শেষে সংবর্ধনা ও স্মৃতিচারণ, সংগীতানুষ্ঠান ও আতশবাজীর মাধ্যামে এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের সমাপ্তী ঘোষনা করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ১৯৮২ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুভাষ দাস।
উল্লেখ্য, বীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় স্কুলের নাম ছিল বীরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। পরে ১৯৮৫ সালে স্কুলটি সরকারি করণ করা হয়। শোভাযা ও আলোচনা সভায় এমপি গোপালসহ পাইলট স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ গ্রহণ করেন। সুনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে (২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর) দুই দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে পুরো বিদ্যালয়টি সাজানো হয়। পুরনো শিক্ষার্থীর একত্রে মিলে ব্যাচ ব্যাচ মিছিল করে। বিভিন্ন বয়সের নতুন ও পুরাতন সকল শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিদ্যালয় চত্বরটি যেন মিলন মেলায় পরিনত হয়।