ফোকাস ডেস্কঃ তৃতীয় দিনের মতো চলমান বিক্ষোভ দমনে বৃহস্পতিবার তাজা গুলি চালায় ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী। এদিন ভোর থেকেই বাগদাদ সহ ইরাকের অনেক অংশে জারি করা হয়েছিলো কারফিউ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী আবেল আব্দেল মাহালি ভোর ৫টা থেকে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এএফপি
৩ দিন আগে ইরাকে চলমান বেকারত্ব ও সরকারি দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় ধরণের বিক্ষোভ শুরু হয়। বুধবার রাতে বাগদাদ সহ ইরাকের বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনায় নিহত হয় ১২ বিক্ষোভকারী ও ১ পুলিশ। এএফপি জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে কারফিউ ভেঙে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী বাগদাদের গ্রীন জোনের কাছে তাহরির স্কয়ারে জড়ো হয়। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ হওয়ার আগে এক বিক্ষোভকারী এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এখানেই ঘুমিয়েছি যেনো পুলিশ এই স্থানের দখল নিতে না পারে।’
পুরো বাগদাদ জুড়ে ইন্টারনেট সেবা প্রায় বন্ধই করে দেয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুক্তাদা আল সদর সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়ার পর থেকে তারা চুড়ান্ত সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়াও দূতাবাস এলাকা গ্রীন জোনের কাছে ভোরবেলা জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। তবে কেউ এখনও এর দায় স্বীকার করেনি। এই ঘটনার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেই গ্রীন জোনকে পরবর্তী ঘোষণা দেয়া পর্যন্ত সিল করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। এদিকে ১৩ জন নিহত হওয়া ছাড়া প্রায় ৪০০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালগুলো বলছে মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল।