ফোকাস ডেস্ক: ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় শুরু হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু ছাড়িয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সড়কটি দিয়ে চলাচল করা মানুষ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের পাশাপাশি পশুবাহী ট্রাকের চলাচল কয়েকগুণ বেড়ে যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। এর ফলে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। রাত থেকে গাড়ি আরও বাড়তে থাকায় যানজটের দৈর্ঘ্য আরও বেড়ে যায়। এছাড়া সারারাত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় যানজটে পশুবাহী ট্রাক আটকা পড়লে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে মহাসড়কের গোড়াই এলাকায় ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। ওই এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হলেও স্থায়ী নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কোরবানির পশুবাহী অসংখ্য ট্রাক এই পথ দিয়েই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো থেকে ঢাকার দিকে আসছে। এরই মধ্যে মাঝে মধ্যেই ট্রাক বিকল হওয়ায় এবং চালকরা লেন না মেনে এলোমেলোভাবে গাড়ি চালানোয় জটিলতা আরও বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকে জানান।
যানজটের কারণে ছুটিতে ঘরমুখো যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ যেতে যেখানে চার ঘণ্টার মতো সময় লাগে সেখানে সময় লাগছে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা।
পরিবার নিয়ে রংপুরে যাওয়ার জন্য গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসে ওঠেন শামছুর রহমান। কিন্তু যমুনা সেতু পর্যন্ত পৌঁছাতেই তাদের সকাল হয়ে গেছে। এই যানজটের মধ্যে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রায়েজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে থেমে থেমে যানজট থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকে মহাসড়কের মির্জাপুরের ২০ কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় ধীর গতিতে চলাচল করছে।
বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় মহাসড়কে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাজ করতে কিছুটা অসুবিধা হয়েছে বলেও জানান তিনি।